বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা, যার তিনিই একমাত্র হক্বদার। দরুদ ও সালাম পেশ করছি আল্লাহর প্রিয় হাবীবের প্রতি। আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক সকল যুগের সকল মূমিন-মুজাহিদীনদের উপর, যারা আল্লাহর যমীনে আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করতে নিজেদের জান-মাল কুরবান করাকে নিজের জীবনের মূল মাকসাদ (লক্ষ্য) বানিয়ে নিয়েছেন।

আজ মুসলিম উম্মাহ এক কঠিন সময় পাড় করছে। এখনকার সময়ে ইলম, আমল, চাটুকারিতা, লিবাসের কারণে মূমিন ও মুনাফিকদেরকে আলাদা করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। কিন্তু আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা- তাঁর রহমতের মাধ্যমে আমাদের এই ইলম দান করেছেন যে, আমরা অনেক সহজেই এই পার্থক্যটা ধরতে পারব, যদি সেই ইলমটা আমাদের জানা থাকে। আর তা হলোঃ জিহাদ।

হ্যাঁ, জিহাদের মাধ্যমেই সব সময়ই আমরা মুনাফিকদের পরিচয় পেয়ে থাকি। পবিত্র কুরআনে সূরা তাওবা, আনফাল, বাক্বারার অনেক জায়গা থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ কুরআনের ৬০০ আয়াতেরও বেশি আয়াতে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা আমাদের জিহাদের হুকুম-আহকাম শিখিয়েছেন।

যেমনঃ

সূরা আত তাওবার ৪১ নাম্বার আয়াতে বলেছেন:

 “অভিযানে বেড়িয়ে পড় হালকা অবস্থায় হোক অথবা ভারী এবং জিহাদ কর আল্লাহর পথে তোমাদের সম্পদ জীবন দ্বারা এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা জানতে

 

তিনি আরো বলেন,

নিঃসন্দেহে আল্লাহ মুমিনদের নিকট থেকে তাদের প্রাণ ও তাদের ধন সম্পদ সমূহকে জান্নাতের বিনিময়ে ক্রয় করে নিয়েছেন; তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে, যাতে তারা হত্যা করে এবং নিহত হয়ে যায়। এর (জিহাদের) দরুন (জান্নাত প্রদানের) সত্য অঙ্গীকার করা হয়েছে তাওরাতে, ইঞ্জিলে এবং কুরআনে; আর  নিজের অঙ্গীকার পালনে আল্লাহ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর অন্য কে আছে? অতএব, তোমরা আনন্দ করতে থাক তোমাদের এই ক্রয় বিক্রয়ের উপর যা তোমরা সম্পাদন করেছ। আর এটা হচ্ছে মহাসাফল্য।” [সূরা আত তাওবা ১১১]

মহান আল্লাহ আরো বলেন,

ঈমানদারদের মধ্যে যারা অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসে থাকে তারা এবং যারা আল্লাহর পথে স্বীয় জান মাল দ্বারা জিহাদ করে, তারা সমান নয়। যারা স্বীয় জান মাল দ্বারা জিহাদ করে আল্লাহ তাদেরকে যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর মর্যাদা দিয়েছেন। আর যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর যারা জিহাদ করে তাদেরকে আল্লাহ মহা পুরস্কার দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। এ তাঁর (আল্লাহর) তরফ হতে মর্যাদা, ক্ষমা ও দয়া। বস্তুতঃ আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরমদয়ালু।

[সূরা নিসা ৯৫-৯৬]

তিনি সূরা আস সফ এর ১০-১৩ নাম্বার আয়াতে বলেছেন,

হে ঈমানদারগন! আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দিব না, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে? (তা এই যে) তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলে বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং তোমাদের ধনসম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে। আল্লাহ তোমাদের পাপ-রাশিকে ক্ষমা করে দিবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে; যার নিম্নদেশে নদীনালা প্রবাহিত এবং (প্রবেশ করাবেন) স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য। আর তিনি তোমাদেরকে দান করবেন বাঞ্ছিত আরো একটি অনুগ্রহ; আল্লাহর সাহায্য ও আসন্ন বিজয়। আর বিশ্বাসীদেরকে সুসংবাদ দাও।

সূরা আত তাওবার ৩৬নং আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তাআলা বলেছেন:

আর মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যেমন তারা তোমাদের সকলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। আর জেনে রেখ যে, আল্লাহ সাবধানীদের সাথে রয়েছেন।

এমনকি কোন কোন জায়গায় আমাদের উদ্দেশ্যে অনেক কঠোর ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। যেমনঃ

তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটি বিষয় পছন্দনীয় নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।

[সূরা বাকারা:২১৬]

মুশরিকদের যেখানে পাবে হত্যা করবে, তাদের বন্দী করবে, অবরোধ করবে এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওঁত পেতে থাকবে। কিন্তু তারা যদি তওবা করে, সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয় তবে তাদের পথ ছেড়ে দেবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।

[সূরা আত তাওবাহ,০৯#০৫]

এবং তোমরা তাদের বিরুদ্ধে ক্বিতাল করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দ্বীন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়..।

[সূরা আনফাল, ০৮#৩৯]

আল্লাহ তাআলা বলেন-

হে ঈমানদারগন! নিজেদের অস্ত্র তুলে নাও এবং পৃথক পৃথক সৈন্য দলে কিংবা সমবেতভাবে বেরিয়ে পড়” (সূরা আন নিসা–৭১)।

যদি তোমরা অভিযানে বের না হও, তবে তিনি তোমাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি দান করবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন এবং তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবেনা। আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান।

[সূরা আত তাওবা,০৯#আয়াত,৩৯]

আর তাছাড়া এই জিহাদকে কেন্দ্র করেই মুনাফিকদের করা কিছু মুনাফিকী নিয়ে আল্লাহ কুরআনে সূরা আল মুনাফিকূন নাযিল করেছেন।

তাই হে মুসলিম ভাই ও বোনেরা!

আসুন আমরা এই ফারয আমলটি পালন করি এবং সবাইকেই উদ্বুদ্ধ করি। আর যদি এ রাস্তায় চলতে যেয়ে আমাদের বোন সুমাইয়ারদি আল্লাহু আনহার মত কঠিন শাহাদাত বরণ করতে হয়, তাও আমরা রাজি। যদি আমাদের খাব্বাব রদি আল্লাহু আনহুর মত কষ্টদায়ক শাহাদাত বরণ করতে হয়, তাও রাজি।

যদি আমাদের সূরা বুরুজে বর্ণিত সেই সম্মানিত শহীদের মত শাহাদাত বরণ করতে হয়, তাও রাজি।

একটি কথা মনে রাখবেন!!

আল্লাহ ওয়াদা করেছেন, তাঁর দ্বীনকে গালিব (বিজয়ী) করার। অতএব, আপনারা যদি এই বরকতময়, অভিযানে শরীক হোন, তাহলে এটি আপনাদের পালনকর্তার প্রতি কোন ইহসান করা হবে না,

বরং নিজেকে জাহান্নামের সেই আগুন থেকে বাঁচানোর একটি প্রচেষ্টা হবে মাত্র, যে আগুনের তাপ মানুষের অন্তর পর্যন্তপৌঁছে যায়।

সেই জাহান্নাম থেকে নিজেকে বাঁচানোর একটি মাত্র উপায় হবে, যে জাহান্নামের বাসিন্দারা কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকিয়ে ফেলবে এবং শেষে পানির বদলে রক্ত আসতে থাকবে, তারপরও তাদেরকে সেখান থেকে বের করা হবে না।

এটি সেই রাস্তা, যে রাস্তায় চলেছেন আমাদের প্রিয় নাবী মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সহ অনেক আম্বিয়ায়ে কিরাম আলাইহিমুস সালাম, ওনার সম্মানিত সাহাবীগন রদি-আল্লাহু আনহুম, ও সকল যুগের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগন। আল্লাহ ওনাদের উপর রহম করুন। আমীন

তাই এটি ভাবার কোন কারন নাই যে, এই জিহাদের কাফেলায় শরীক হয়ে আপনি আপনার রবের প্রতি অনুগ্রহ করছেন, বরং তাঁরই অনুগ্রহে আপনি এই কাফেলায় শরীক হতে পেরেছেন।

তাই আসুন হে দ্বীনি ভাই ও বোনেরা! জান্নাতের বাসিন্দা হওয়ার এই সুবর্ণ সুযোগটিকে আমরা কাজে লাগাই। এটি আমাদের রবের বিশেষ অনুগ্রহ যে, আমাদের কাছে জিহাদের দাওয়াতটি পৌঁছেছে। তাই আসুন, নিজেদেরকে আসহাবুস সাঈরদের (জ্বলন্ত আগুনের বাসিন্দা) মধ্যে শামিল না করি, বরং জান্নাতুল ফিরদাউসের বাসিন্দা বানানোর জন্য সব রকমের প্রচেষ্টা করি, যেই জান্নাতুল ফিরদাউসের ছাদ হলো, আল্লাহ রব্বুল আলামীনের আরশ, সুবহানাল্লাহ। কি ভাবে আমরা এখনো বসে থাকতে পারি, যখন আমাদের সামনে সেই জান্নাতের খুশবু আসছে, আমরা দেখতে পারছি জিহাদে শরীক হবার পর মৃত্যুই শুধু একমাত্র বাধা আমাদের ও সেই জান্নাতুল ফিরদাউসের মধ্যে, যে জান্নাতের আশিক হয়ে এক সাহাবী (রদি-আল্লাহু আনহু ) তাঁর হাতের খেজুর গুলো ফেলে দিয়ে ছুটে চলেছিলেন।

এক কালো সাহাবী (রদি-আল্লাহু আনহু), মদীনার সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটিকে বিয়ের জন্য বাজার করতে গিয়ে, বিয়ের বাজার না করে, বরং ঢাল তলওয়ার নিয়ে ময়দানে ছুটে গিয়েছিলেন, আর জান্নাতের সুন্দরী হুরেরা তাকে বর হিসেবে বরণ করে নিয়েছিল।

এটি সেই জান্নাতুল ফিরদাউস, যার বাসিন্দা হবার আশায়, আরবের ধনীদের মধ্যে একজন, যাদের সম্পত্তি কোন রাজার চেয়ে কম নয়, সেই সব ধন সম্পদকে ছুড়ে ফেলে, খোরাসানের এবড়ো-থেবড়ো পাহাড়ের অন্ধকার গুহায় ছুটে গিয়েছিলেন। লাদেন গ্রুপ লিখে নেটে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন, কত ধনী বংশের লোক ছিলেন, শহীদ (ইনশাআল্লাহ) শাইখ ওসামা বিন লাদেন রহীমাহুল্লাহ।

তিনি সেই ওসামা, যার সন্তানদের ভালবেসে আনসারেরা কোরমা-বিরিয়ানী-গোশত দিয়েছিল, আর ওনার স্ত্রী ছোট বাচ্চাদের হাত থেকে তা কেড়ে নিয়ে আনসারদের ফিরত দিয়েছিলেন। বাচ্চারা কাঁদছিল, এত বছর পর মজার খাবার পেয়ে, কিন্তু জাওযে ওসামার মন এতটুকওকাঁপেনই মাতৃমমতায়। আনসার বোনেরা কেঁদে কেঁদে বললেন, বাচ্চাদের খাবারগুলো দিতে। কিন্তু ওনার একই জবাব, আজ আমি বাচ্চাদের এই মজার খাবার খাওয়ালে, কাল যখন আমরা আবার পাহাড়ে শুকনো রুটি, খেজুর খেয়ে থাকতে যাব, তখন তারা এই খাবারের আবদার করলে আমি কোথা থেকে এনে দিব? তাই ওদের এসব মজাদার খাবারের মজা বুঝানো হোক, আমরা তা চায় না। সুবহানাল্লাহ!

এক বোনের ঘটনা বলছি, যারা জান্নাতুল ফিরদাউসের বাসিন্দা হবার আশায় আফগানের বিরান (দুনিয়ার সকল আরাম আয়েশ এখানে পাওয়া যায়না, তাই বিরান বললাম) এলাকায় বসবাসের জন্য এসেছিলেন।

প্রথম দিকে তিনি সেই মখমলের গালিচার জন্য মাঝে মাঝে কষ্ট পেতেন, নল ঘুরালেই পানি আসার বদলে নিজের হাতে গভীর কুয়া থেকে পানি ওঠাতে অনেক কষ্ট পেতেন।

ওয়াশিং মেশিনের বদলে হাত দিয়ে কাপড় ধূতে অনেক কষ্ট পেতেন আর শাইখকে বলতেন, আমি আর পারছি না। দেশে পাঠিয়ে দাও। এত কষ্ট করতে পারবনা।

সেই বোন ৯বছর পর শাইখকে কখনো রেস্ট করতে দেখলেবলতেন, তোমাদের কাজ করার শক্তি এত কম কেন? যাও এত রেস্টের দরকার নাই। যাও, জিহাদের কাজে যাও। আর বোনটিও সারাদিন কাজে লেগেই থাকতেন। তখন তিনি অলরেডি নিজেকে মুহাজিরা থেকে আনসার হিসেবে গঠন করছেন। আর স্বামীকে সব সময় জিহাদের কাজে উসাহ দিতেই থাকতেন, পারলে সহযোগীতা করতেন।

যারা জান্নাতুল ফিরদাউসের আশিক, তাদের জীবনটাই অনেক সুন্দর, অবাক করার মত।

যেমন তারা ‍দুনিয়াতেও ব্যতিক্রম,তা নয়। বরং, আখিরাতেও তারা কোন হিসাব ছাড়াই, আখিরাতের কোন কষ্ট ছাড়াই, জান্নাতে যাবেন। যেখানে সাধারণ মুসলমানরা দুনিয়ার সকল দেনা পাওনার হিসাব দিতে দিতে কোটি কোটি বছর পাড় করবেন, তখন তারা থাকবেন জান্নাতুল ফিরদাউসের উদ্যানে।

তাই আমি আপনাদের আজ এই জান্নাতুল ফিরদাউসের দাওয়াত দিতে এই লিখাটি লিখেছি।

আমি আপনাদের একটি লোভনীয় হাদিস দিয়ে লিখাটি শেষ করছি। আল্লাহ আমাকে, আমার আহলদেরকে, ও দুনিয়ার সকল মূমীন-মুজাহিদীনদের জান্নাতুল ফিরদাউসের বাসিন্দা বানিয়ে দিন বানিয়ে দিন। আমীন

 

বদরের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করলেন,

ওঠ! এমন এক জান্নাতের জন্য, যার প্রশস্ততা আসমান ও জমিন পরিমাণ।

এ কথা শুনে উমাইর ইবন হামাম রাদিআল্লাহু আনহু বললেন, “আসমান ও জমিন পরিমাণ প্রশস্ত?”

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,“হ্যাঁ

তিনি বললেন, “বাখিন!বাখিন!

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,

তুমি বাখিন, বাখিন, কেন বললে?”

তিনি বললেন, “না অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়, বরং আমি ঐ জান্নাতের অধিকারী হওয়ার জন্যই একথা বলেছি।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তুমি ঐ জান্নাতের অধিবাসী।

তিনি তার ব্যাগ থেকে কিছু খেজুর বের করে খেতে লাগলেন, অতঃপর বললেন,

যদি এই খেজুরগুলো খেয়ে শেষ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করি, তবে সেতো দীর্ঘসময়, অতঃপর সে খেজুরগুলো ছুড়ে মারল এবং তরবারী দিয়ে যুদ্ধ করতে লাগল এবং শহীদ হয়ে গেল।” [মুসলিম]